উত্তাল শ্রীলঙ্কা এরইমধ্যে সড়কে রক্তপাত দেখেছে। বিক্ষোভ দমাতে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে পরোয়ানা ছাড়াই যে কাউকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা তুলে দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি দেশটির সরকার। এবার বিক্ষোভকারীদের সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মে) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ নির্দেশনা দিয়েছে লঙ্কান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নলিন হেরাথ বলেছেন, কাউকে সরকারি সম্পত্তি লুটপাট বা মানবজীবনের ক্ষতি করতে দেখলে নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে সরকারবিরোধ প্রবল বিক্ষোভ আর সহিংসতায় সোমবার শ্রীলঙ্কায় আটজন নিহত হয়েছেন।
তার একদিন পরই ব্যাপক ক্ষমতা দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
সংঘাত নিয়ন্ত্রণে সোমবারই দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়। যার মেয়াদ আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে সোমবার মাহিন্দা রাজাপাকসে প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিলেও প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করছেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিক্ষেোভকারীরাও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে কারফিউ উপেক্ষা করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার দিনভর বিক্ষোভ-সংঘর্ষ ছাড়াও এদিন ক্ষমতাসীন আইনপ্রণেতাদের ও প্রাদেশিক রাজনীতিকদের ৫০টির বেশি বাড়ি-দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। নানা ঘটনায় নিহত হন ৮ জন। আহত হয়েছেন ২০০’র বেশি মানুষ।