টানা বর্ষণে বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতা, স্থবির বাণিজ্য কার্যক্রম

Heavy rains cause waterlogging at Benapole port, halting trade activities

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দরে কোটি কোটি টাকার পণ্য পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। বন্দরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯,১২,১৫,১৬,১৭ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।

বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও গুদামে হাঁটু সমান পানি জমে থাকায় পণ্য খালাস ও পরিবহন কার্যক্রমে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এ ঘটনায় কয়েকটি প্রবেশগেট সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্দরের ইয়ার্ডগুলো জলাশয় মনে হলেও আসলে সেখানে ট্রাক পার্কিং ও আমদানি পণ্য খালাস হয়।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে রেল কর্তৃপক্ষ বন্দরের পাশ দিয়ে নতুন রেল রাস্তা নির্মাণ করতে কালভার্ট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে বৃষ্টির পানিতে বন্দর জুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্দরের ড্রেনগুলো বেশিরভাগ সময় ময়লা-আবর্জনা জমে বন্ধ হয়ে থাকে। ফলে টানা তিন দিনের বৃষ্টির পানি বন্দর থেকে বের হতে পারেনি। এছাড়া বন্দরের পাশে রেললাইনের নিচে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের কালভার্টের নিচে মাটি রেখে দেওয়ায় পানি বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পানি বের হতে না পেরে বন্দরের শেডে প্রবেশ করে।

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী ও অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ‘স্থানীয় বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে নানা অব্যবস্থাপনার কথা বলে আসছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ সেগুলো আমলে নেয়নি। ফলে শতাধিক আমদানিকারক সব হারিয়ে পথে বসার উপক্রম। বিমা না থাকায় বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো ক্ষতিপূরণ দেন না।’

এদিকে বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, পানি নিষ্কাশনে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু হয়েছে। তিনি জানান, বেনাপোল পৌরসভার সহায়তায় পানি নিষ্কাশনের জন্য পাম্প বসানো হয়েছে এবং আশা করা যাচ্ছে পানি সরিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *